কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে কোন্দল ও মারধরের ঘটনার জের ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে মহাসড়কের বেলতলী এলাকায় এই অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েক কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
এর আগে কুবি ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির তিন নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পাকিস্তানি মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখার সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহান ও ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরীকে কয়েকজন মারধর করে।
এই ঘটনার পর মারধরের শিকারদের অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেয়। তারা হামলাকারীদের বিচার দাবি করে স্লোগান দেয়। এ সময় মহাসড়কের দু’পাশে যানবাহন আটকা পড়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও থানা পুলিশ ছাত্রদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও ছাত্রলীগ মহাসড়ক ছাড়েনি। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও অবরোধ অব্যাহত ছিল।
এ বিষয়ে সালমান চৌধুরী বলেন, ‘সবেমাত্র আমি আল আমিন ভাইয়ের দোকানের সামনে এসেছি। তখন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সেক্রেটারি বিপ্লব আমাকে ডাক দিয়ে বলে- তুই বহিষ্কৃত। তোর ক্যাম্পাসে কী? তখন অর্থনীতির অষ্টম ব্যাচের কাওসার আমাকে ঘুষি মারে এবং আল আমিন ভাইয়ের দোকান থেকে লাঠি নিয়ে আমার গায়ে, হাতে ও পায়ে আঘাত করে।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন,‘আমরা ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে এখানে এসেছি এবং দ্রুত পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। এখানে এনায়েতকে যারা মেরেছে তারা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না।’
কুমিল্লা দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এসেছি এবং ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।