1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. cpbadmin@cumillarghotona.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

সৌদি আরবে বৈদ্যুতিকশকে মারা গেলেন দেবীদ্বারের সিয়াম

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৯২ বার দেখা হয়েছে
  • দেবীদ্বার কুমিল্লা প্রতিনিধি

সৌদি আরবে বৈদ্যুতিকশকে মারা গেলেন দেবীদ্বারের সিয়াম(২২)। অভাবগ্রস্থ্য পরিবারের চাকা ঘুরাতে ধার-দেনা করে ১৪ মাস পূর্বে তিনি সৌদী আরবের রিয়াদে গিয়েছিলেন। ঋণের বোঝা এবং গোটা পরিবারকে এক অনিশ্চিত অন্ধকারে রেখে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সিয়াম।
গত শনিবার (৫ অক্টোবর) সৌদি আরবের রিযাদে বাংলাদেশের সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় একটি মাদ্রাসার পানির মটারের কাজ করার সময় তিনি বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে মারা যান।
নিহত সিয়াম(২২) কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ওয়াহেদপুর গ্রামের বরবাড়ির মোঃ আসুম উদ্দিনের পুত্র। দিকে পরিবারের বড় ছেলের মৃত্যুতে পুরো পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
নিহতের চাচা জসিম মিয়া জানান, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকা ধারদেনা করে সৌদি আরব পাড়ি জমান সিয়াম। সেখানে রিয়াদের একটি মাদ্রাসার ড্রাইভার হিসেবে কাজে গেলেও ইলেক্ট্রশিয়ানের কাজ করতেন তিনি। গতকাল শনিবার মাদ্রাসার পানির মটর এর কাজ করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শকে তার মৃত্যু হয়। অশ্রæসিক্ত নয়নে তিনি আরও জানান, সিয়াম পরিবারের বড় সন্তান, সংসারের হাল ধরতেই প্রবাসে পাড়ি জমান। সিয়ামের বাবা আসুম উদ্দিন ১৮ বছর সৌদি আরবে প্রবাসি জীবন শেষ করে গত জুন মাসে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরেন। সিয়ামের বাবা তার প্রবাস জীবনে কিছুই করতে পারেনি। উল্টো অসুস্থ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ছেলে প্রবাসে যাওয়াতে তিনি দেশে ফিরে আসেন। সিয়াম তার পরিবারের হাল ধরেন, তার আয় রোজগার দিয়েই চলত পরিবার। তার মৃত্যুতে আমরা সবাই আজ বাকরুদ্ধ। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সিয়াম ছিল সবার বড়। ছোট ভাই সিফাত (১১) এবং ছোট বোন হাবিবা (৮)। তিনি আরো জানান, সিয়ামের ঋনের ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এখনো শোধ করতে পারেনি। একমাত্র উপর্জনকারীর মৃত্যুতে অনিশ্চিত অন্ধকারে গোটা পরিবার।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুত্র শোকে বারবার মুর্চা যাচ্ছেন নিহতের মা মোর্শেদা বেগম। বিশ্বাস করতে পারছেন না ছেলের মৃত্যুর কথা। বারবার বলেন তুই আমাদের আগে চলে গেলি আমরা কিভাবে থাকবো। তার মা সরকারের কাছে দাবী তুলেছেন সন্তানের লাশ দ্রæত দেশে ফিরিয়ে আনতে। তার দুই ভাই-বোন সিফাত (১১) ও হাবিবা (৮) ভাইকে ডেকে ডেকে কান্না করছে, আর বলছে ভাই তুমি চলেগেলে, এখন আমাদের লেখা-পড়ার খরচ, খাওয়া পড়ার খরচ কেদেবে ?

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০