কুমিল্লায় নিহত মা ও দুই সন্তানের কবর খোঁড়ার জন্য এগিয়ে আসেনি কেউছবিঃ সংগৃহীত
কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে নিহত মা ও দুই সন্তানের কবর খোঁড়ার জন্য এগিয়ে আসেনি কেউ। পরে তিনজন গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাদের কবর খোঁড়া হয়।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে এই চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গ্রাম পুলিশ খোরশেদ আলম, মামুন মিয়া, প্রফুল্ল চন্দ্র দাস ও স্থানীয় স্বপন মিয়া কবর খোঁড়ার কাজ করছেন। রাত সোয়া ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে মরদেহ নিয়ে রওয়ানা দিলেও এলাকায় পৌঁছায়নি নিহতদের স্বজনরা।
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার দুপুর নাগাদ মরদেহ গ্রহণ করতে যায়নি কেউ। বিকেলে নিহত রুবির মেয়ে জামাই মনির হোসেন মরদেহ গ্রহণ করেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘কবর খোঁড়া ও দাফনের জন্য আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে মুরাদনগর থেকে টাকার বিনিময়ে লোক আনার চেষ্টা করেও না পেয়ে আমরা গ্রাম পুলিশের সহযোগিতা নিতে বাধ্য হয়েছি। ’এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে এলাকাবাসীর হামলা করে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রোকসানা বেগম রুবি, তার ছেলে রাসেল মিয়া এবং তার মেয়ে জোনাকি আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় তার আরেক মেয়ে রুমা গুরুতর আহত হন। নিহতের স্বজনরা এখনো এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেনি।