নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি
রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা শিশু আদালত-১-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। অভিযুক্ত কিশোর এই সময় আদালতে উপস্থিত ছিল।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ওই কিশোর আসামি ২ বছর ৫ মাস ২৩ দিন ধরে নিরাপদ হেফাজতে আছে। কারণ মামলার সিডিতে থাকা জন্মসনদ অনুসারে মেহেদীর জন্মতারিখ ০১-১১-২০০৩। আদালত সাত বছরের আটকাদেশ দিলেও তার আগের সাজা কাটা হবে।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. সাইফুল ইসলাম মিয়াজী বলেন, ‘ঘটনার সময় আসামি শিশু ছিল। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা তার জন্মসনদ শনাক্ত না করেই সিএস দাখিল করেছেন। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জন্মসনদ যাচাই করে জানা যায়, আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাই মামলাটি নারী ও শিশু আদালতে পাঠানো হয়। সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেয়ার পর সামাজিকভাবে বসে মীমাংসা করে বাদীপক্ষকে দুই লাখ টাকা দেয়া হয়। আজ যে রায় হয়েছে, এ বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ জুলাই ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, ভিকটিম স্থানীয় মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। ২০২০ সালের ২২ জুলাই ভিকটিম তার মায়ের থেকে নাশতার জন্য ২০ টাকা নিয়ে বের হয়ে দোকানে যাচ্ছিল। এ সময় আসামি মেহেদী হাসান ভিকটিমের মুখ চেপে, হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এরপর অসুস্থ অবস্থায় ভিকটিম বাসায় এসে মাকে জানালে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। মামলার পরপরই আসামিকে আটক করে পুলিশ।