কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার সংচাইল গ্রামে নিজ পিতা কর্তৃক আপন কণ্যাকে একাধিকবার ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগীর নানীর করা মামলায় বাবা আটক। ঘটনাটি ঘটে গতকাল (২৭ অক্টোবর) উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়নের সনচাইল গ্রামের (বদুরুদ্দীর বাড়ির) ভিকটিমের নিজ বাড়িতে।
ঘটনায় আটককৃত ব্যক্তির নাম মোঃ হারুন (৪৮), পেশায় কৃষক। সে উপজেলার সনচাইল গ্রামের মৃতঃ আব্দুল মান্নান মিয়ার পুত্র, ভিকটিমের শিশুটির আপন বাবা।
মামলার বাদী ভিকটিমের নানী সাহেদা বেগম (৫৭) জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়ের জামাতা অভিযুক্ত (মোঃ হারুন) তার আপন মেজো মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণচেষ্টা করে আসছে। বাদীর নাতনী ভিকটিম শিশুরা ২ বোন ও এক ভাই রয়েছে। ভিক্টিমের ‘মা’ বর্তমানে ৯ মাসের অন্তঃসত্বা ও অসুস্থ। স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তার মেয়ের জামাতা গত পাঁচ মাস আগে তার মেজো মেয়েকে গরুর ঘাসের ঝুড়ি মাথায় তুলে দেওয়ার কথা বলে পাট ক্ষেতে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। পরে মেয়েটি কান্নাকাটি করে মায়ের কাছে বললে, ভিকটিমের মা কুরআন শরীফ ছুইয়ে শপথ করিয়ে জীবনে আর কখনো এমন ভুল না মর্মে অঙ্গিকার করান। মোঃ হারুনও প্রতিজ্ঞাবদ্ব হন। এখানেই ক্ষান্তহননি তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে গত এক মাস আগে ফের আগের মত ধর্ষণ চেষ্টা ও একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলে তিনি জানান। গতকাল ২৭ অক্টোবর সকাল ১০ টার সময় তার পিতা বাজার থেকে এসে গায়ের কাপড় ধুয়ে দেবার কথা বলে বাতরুমে পাঠান, তারপর সেখানে গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেন। ভিকটিম শিশুটি কোন উপায় না পেয়ে দৌড়ে তার নানুর বাড়িতে গিয়ে নানীর কাছে সবকিছু খুলে বলেন। পরে তিনি দেবীদ্বার থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেন। এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোঃ ইলিয়াছ বলেন, আপন পিতা কর্তৃক মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা বিষয়টি পরিবার থেকে অবহিত করলে, প্রথমে আমরা অভিযুক্ত পিতাকে আটক করি। জিজ্ঞেসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ও ভুলবশত করেছে বলে জানান। আটকের পর ওই এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল অভিযুক্ত পিতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় আসেন। আমি সকলকে ধর্ষণ মামলা আসামী হতে হবে বলাতে আর তদবির করেনি। ভিকটিমের আপন নানীর দায়ের করা মামলা রুজু পূর্বক অভিযুক্তকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছি।