নিখোঁজের আট মাস পর শিশু সন্তানের খোঁজ পেয়ে সন্তানকে নিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন মা-নানী- মামাসহ ৫ জন। এ ঘটনায় ওমান প্রবাসী মোঃ ইব্রাহীম সরকার (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত ওমান প্রবাসী যুবক ইব্রাহীম সরকার দেবীদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের ডাংগারীপাড় নোয়াবাড়ি(সরকার বাড়ি)’র জুলুশ মিয়ার পুত্র। তিনি ময়নামতি থেকে আসা দূর্ঘটনায় কবলিত সিএনজির যাত্রী ছিলেন। দূর্ঘটনাটি ঘটে রবিবার (৩ আগষ্ট) বিকেল ৩টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, কুমিল্লাগামী ফারজানা ট্রান্সপোর্টের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে দেবীদ্বারগামী একটি সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দূর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা দূর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কংশনগর ইউনিক হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এসময় ওমান প্রবাসী ইব্রাহিম নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। তাছাড়াা নোয়াখালী থেকে মোহাম্মদ হোসাইন(৮) নামে এক শিশু ৮ মাস পূর্বে নিঁখোজ হয়। নিখোঁজের পর থেকে ওই শিশুটি দেবীদ্বার সরকারী শিশু পরিবারে আশ্রিত ছিল। শিশুটির বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নামাতচর গ্রামের, তার বাবার নাম মো.আলমগীর। শিশুটির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তার মা’জরিনা বেগম(৩৫), হোসাইনের নানী মনোয়ারা বেগম(৫৮), মামা অলি উদ্দীন( ৪২) এবং অপর এক নারী ও সিএনজি চালকসহ ৫জনই দূর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে হোসাইনের নানী মনোয়ারা বেগম গুরুতর আহত হলে তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এবিষয়ে কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার মজুমদার দূর্ঘটনায় ১ জন নিহত ও ৫ জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ, দূর্ঘটনায় কবলিত বাস ও সিএনজি পুলিশ হেফাজতে আছে। এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।