জুলাই ছাত্র আন্দোলনের ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল ছামদ গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘ সাত মাস ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পর থেকে কস্টে দিন যাপন করে আসছে নিহতের পরিবার। লেখা- পড়া ছেড়ে দেয়, বড় ছেলে সাইফুল( ২৫)। সে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাঁচার হাল ধরলেও শেষ নেই তার মায়ের কস্ট। নিহতের স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম( ৪০) জানান- স্বামীকে হারালাম ১ বছর হলো,অনেক কস্টে দিন কাটচ্ছে আমার। চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ে আমার ছোট মেয়ে জান্নাত। বাবা কে না পেয়ে অনেক দিন আম খাওয়ার কথা বললেও কিনে দিতে পারি নাই,লেখার জন্য খাতা – কলম চাইলে তাও দিতে পারিনা। কার কাছে বলবো এ কস্টের কথা, অনেক রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা এসে বলেছিলো আমাকে বিধবা ভাতা কার্ড করে দিবে, এতে আমার কস্ট দূর হবে। কিন্তু এখনোও ভাতা কার্ড পাইনি। নিচ্ছে না কেউ পরিবারের খোঁজ- খবর।
গত বছরের ৫ আগস্ট কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত আব্দুস সামাদ,দীর্ঘ সাত মাস ভোগান্তির পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত (৪ মার্চ) ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে হসপিটালে মারা যান। সামাদ কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের ধামতী দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক হাসিনা সরকারের পতনের দিন থানা ঘেরাওকালে দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সামাদ। এ সময় তিনি মারাত্মক আহত হলে হয়েছিলেন।