নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান মফিজ উদ্দীন আহমেদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এটি উপজেলার সদরে অবস্থিত। শিক্ষক বিমল চন্দ্র দাসকে জড়িয়ে ধরে এক ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হলে সুশীল সমাজে সমালোচনা,
তীব্র নিন্দা ও শাস্তির দাবীতে তুলপাড় শুরু হয় সোশাল মিডিয়ায়।
শনিবার বিকেল ৩ টায় দৈনিক আজকালের খবর কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুন নবী তালুকদার জানান – ফেইসবুকে আপত্তিকর ছবিটি ভাইরাল হওয়া বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান জানান- ছাত্রী ও শিক্ষকের আপত্তিকর ছবিটি ২০১৭ সালে তুলা বলে জানতে পেরেছি। ছবিতে তুলা ছাত্রী মফিজ উদ্দীন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী নন। তবে শিক্ষক বিমল চন্দ্র দাস আমার প্রতিষ্ঠানে অতিথি শিক্ষক হিসাবে মৌখিক ভাবে শরীরচর্চা শিক্ষক হয়ে আসেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে, এত দিন পরে ছবিটি ফেইসবুকে ভাইরাল হলে এতে বিদ্যালয়ের মানকে ক্ষুন্ন করেছে, তবে পূর্বে যদি তার বিষয়ে জানা থাকতো প্রতিষ্ঠানে বিমল দাসকে আনা হত না।
২৬ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে আপত্তিকর ছবির বিষয়ে বিমল দাসকে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ জিগাসা করলে ছাত্রীর সাথে তার ছবিটি তুলার কথা স্বীকার করেন, তবে কারা ফেইসবুকে এমনিটি করেছে সে জানেনা বলে তিনি জানান।
বিমল চন্দ্র দাস ওই স্কুলের শিক্ষক নন অস্বীকার করে, বিষয়টি সর্বস্তরের মানুষের লক্ষ্যে স্পষ্ট করার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ২৭ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান – আপত্তিকর ছবি ভাইরাল হওয়ার শিক্ষক বিমল চন্দ্র দাস আমার প্রতিষ্ঠানের খন্ডকালীন শিক্ষক নয়। তাকে শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস পালন ও অনান্য ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় সহায়তা করার জন্য মৌখিক ভাবে নির্দিস্ট সন্মানীর মাধ্যমে বিদ্যালয়ের কর্মকান্ডে নিয়োজিত রাখা হয়। তবে ওই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক বিমল দাসকে বিদ্যালয়ে কোনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না রাখারও সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। সম্প্রতি ছাত্রীর সাথে বিমল দাসের ছবি ভাইরাল হলে বিদ্যালয় কমিটির জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবার বেলা ২ টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র নিকট ওই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন – আগামীকাল রবিবার ওই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিকুন নবী তালুকদার’র মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শিল্পকলা একাডেমির একজন কর্মকর্তার নিকট ওউ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন- বিমল চন্দ্র দাস শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতি শুক্রবার নাচের দ্বায়িত্বে শিশুদের নাচ শিখাতেন। তবে আপত্তিকর ছবির ছাত্রী কোন কলেজের তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি।
তবে এ ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ছবিটির শিক্ষক বিমল চন্দ্র দাসের- ০১৯২০ – ০১৭৪১৭, ০১৬৭৫৭৮৪৮৫৪ নম্বরে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল নম্বর টি বন্ধ পাওয়া যায়।