কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার চান্দিনায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শান্তা আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধুর বিষপানের ৮ দিন পর সন্তানসহ মৃত্যু ঘটেছে।
গত মঙ্গলবার(১০ জানুয়ারী) রাত সোয়া ১১টায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু ঘটে গৃহবধু শান্তা আক্তারের। এর কয়েক ঘন্টা আগে রাত ৮টায় মৃত্যু হয় তার নবজাতক পুত্র সন্তানের!
জানা যায়,কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ছগুরা গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার মেয়ে শান্তা আক্তার প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের খিরাসার মোহনপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন এর ছেলে প্রবাসী জুয়েল এর সাথে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে চার বছর বয়সী হাবিব নামের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে শান্তা আক্তার আবার সন্তান সম্ভাবা হয়ে পড়ে। গত ৩ জানুয়ারী পারিবারিক কলহের জের ধরে ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শান্তা আক্তার বিষপান করে। তাৎক্ষনিক তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে বিষক্রিয়া চিকিৎসার এক পর্যায়ে পরদিন শান্তা আক্তারকে কুমেক থেকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়। সেই হাসপাতালে গত ৪ জানুয়ারী স্বাভাবিক প্রসবে পুত্র সন্তান জন্ম দেন শান্তা।
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে নবজাতক সন্তান নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন শান্তা আক্তার। গত ১০ জানুয়ারী রাত ৮টায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যু ঘটে নবজাতক পুত্র সন্তানটির। তার কিছুক্ষণ পর শান্তা শাসকষ্টসহ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে রাত সোয়া ১১টায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু ঘটে তার।
এদিকে খবর পেয়ে বুধবার সকালে চান্দিনা থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ করতে না আসলেও গ্রাম পুলিশের লিখিত তথ্যের ভিত্তিত্বে বুধবার বিকেলে চান্দিনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, প্রাথমিক তদন্তে বিষপানে আত্মহত্যার বিষয়টি জানতে পারি। মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে শিশুটির মরদেহ পরিবার এর আগেই দাফন করেছে। আমরা পুরো ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।